October 8, 2024, 11:37 am

সংবাদ শিরোনাম
প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা!

চেয়ারম্যানের কাঁধে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া কৃষক হোসেন মিয়ার লাশ,এগিয়ে আসেনি কেউ

মোঃ সিজান খাঁন সোহাগ, কিশোরগঞ্জ ব্যুরো প্রধানঃ

করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া কৃষক হোসেন মিয়ার (৫৫) লাশ নিজ ঘরে পড়েছিল পাঁচ ঘণ্টা।ভয়ে লাশ দাফনে এগিয়ে আসেনি কেউই। এতে লাশ নিয়ে বিপাকে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।কোথায়-কীভাবে লাশ দাফন করা হবে- সেটি নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চিয় তা।ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের।মর্মান্তিক এ ঘটনার খবর জানতে পেরে লাশ দাফনে এগিয়ে আসেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন।এরপর ধর্মীয় সব রীতি মেনে দাফন করা হয় কৃষক হোসেন মিয়ার লাশ।জানা যায়, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে শয্যাশায়ী ছিলেন নয়নপুর গ্রামের কোনাঘাটা এলাকার কৃষক হোসেন মিয়া।গত ২৪ জুন ২০২০ ইং তারিখ বুধবার তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। গত ২৬ জুন ২০২০ ইং তারিখ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বাড়িতেই মারা যান হোসেন মিয়া।কিন্তু তার লাশ দাফনে পরিবারের লোকজনদের সাহায্যে গ্রামের কেউ এগিয়ে না আসায় বিপাকে পড়েন তারা।এ ঘটনার খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন।বাঁশ কাটা, কবর খোঁড়া ও জানাজাসহ সব ব্যবস্থা করেন তিনি।বাড়ি থেকে লাশ নিজ কাঁধে করে কবরস্থানে নিয়ে যান চেয়ারম্যান।এরপর জানাজা শেষে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে নয়নপুর গ্রামের একটি কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, গ্রামের লোকজন ধরেই নিয়েছিলেন কৃষক হোসেন মিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।সে জন্য ভয়ে লাশ দাফনে কেউ এগিয়ে আসছিল না।পরে আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর মানুষজনকে বুঝিয়ে বললে তারা লাশ দাফনে এগিয়ে আসেন।এরপর গ্রামের লোকজনদের নিয়ে লাশ দাফন করেছি।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৮ জুন ২০২০ /ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর